চবি ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব: অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতায়ের অভিযোগ
১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সংগঠনের ভিন্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মোরশেদুল আলম রিফাত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। রিফাত উল্লেখ করেছেন, অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনতায়ের সময় তাকে মারধরও করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোরশেদুল আলম রিফাত বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় গ্রুপের কর্মী। তিনি অভিযোগ এনেছেন, শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক আরেকটি সংগঠন চুজ ফ্রেন্ডস উইদ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহ আমানত হলের সামনে আনুমানিক ১৭ জন রিফাতের পথ আটকায়। এরপর হলের ভেতরে নিয়ে গিয়ে কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করে তারা এবং মারতে থাকে। তার স্যামসাং মোবাইল ফোন, নগদ ২ হাজার ৩৫৭ টাকা, মানিব্যাগ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তারা ছিনিয়ে নেয়।
এদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাসেল, আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাকিল, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মোহন, শুভ এবং প্রদীপকে তিনি চিনতে পেরেছেন বলে সারাবাংলাকে জানান।
রিফাত বলেন, আমি বুধবার (১৭ অক্টোবর) শাহ আমানত হলে এক ছোট ভায়ের কাছে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। মোহন নামে একজন আমার মাথায় ওয়ান শুটার গান ধরে সব ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে পরে আমি বাইক রেখে শাহ জালাল হলের দিকে দৌড় দিলে তারা রামদা হাতে আমাকে ধাওয়া করে। চবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন টিপু তাদের নিবৃত্ত করেন।
সিএফসি নেতা সুমন নাসিরের নির্দেশে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিফাত।
এ বিষয়ে মো. ইকবাল হোসেন টিপু সারাবাংলাকে বলেন, রাতে কয়েকজন ঝামেলা করছিল দেখে আমি তাদের সরিয়ে দিয়েছি। পরের ঘটনা আমি জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, বন্ধুদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে, ছিনতায় বা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রিফাতের কোনো দোষ ছিল না, আমরা দোষীদের খুঁজে পেয়েছি। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমন নাসির ওই সময় আমার সঙ্গে ছিল। তার নির্দেশে হামলা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই— এক প্রশ্নের জবাবে বলেন রেজাউল হক রুবেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমরা এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। দুইপক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি। অভিযোগপত্রটি থানায় দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলবো।