Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান খুন হওয়া ছাত্রদলকর্মীর পরিবার


২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রদল কর্মী আবিদুর রহমান হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ন্যায়বিচার না পাবার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। রায় ঘোষণার তিনমাস পর সংবাদ সম্মেলনে এসে আবিদের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। উচ্চ আদালতে যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আট বছর আগে খুন হওয়া আবিদের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, মামলার সব আসামি খালাস পাওয়ায় তারা সংক্ষুব্ধ।

২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর চমেকের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদকে ছাত্রলীগ কর্মীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। দুইদিন পর ২১ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আবিদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই ঘটনায় আবিদুরের মামা নেয়ামত উল্লাহ চৌধুরী বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় চমেক ছাত্রলীগের তৎকালীন ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মান এবং জিএস হিমেল চাকমাসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নিহত আবিদের ভাই জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আবিদকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা কয়েক ঘণ্টা হকিস্টিক, লাঠি, স্ট্যাম্প ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। ছাত্র সংসদ নামের টর্চার সেলে নিয়ে আবিদকে তিন-চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়। চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদ মারা যায়।’

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু হলে চমেক ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ ও বুয়েট প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আবিদ হত্যার পর চমেক প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। খুনিদের প্ররোচনায় এবং কলেজ প্রশাসনের ইন্ধনে ২০১২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেয়া চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে ১০ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।’

চার্জশিট দেয়ার সময় মামলার বাদিকে কিছুই জানানো হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদি নারাজি না দেওয়ায় ১২ জনকে আসমি করে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার চলাকালে আমার মামাকে আদালত প্রাঙ্গন থেকে অপহরণের চেষ্টা হয়। এরপর থেকে ওনি আর আদালতে যাননি।’

চলতি বছরের ১৭ জুলাই দেওয়া রায়ে সব আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন বলে জানান জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। সেখানে যাতে আমরা ন্যায়বিচার পাই, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আবিদের মা সৈয়দুন্নেসা, মনসুরুল আহমেদ, বোন মোরশেদা ইয়াসমিন, সাজেদা ইয়াসমিন, শাহেদা ইয়াসমিন ও ভগ্নিপতি সোহেল ছিলেন।

আবিদুর রহমান হত্যা ছাত্রদল কর্মী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর