১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
২৩ অক্টোবর ২০১৯ ১০:১৫
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে সমাবেশ করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা। সমাবেশ থেকে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ে মধ্যে দাবি মেনে না নিলে তারা পিএসসি পরীক্ষাবর্জনসহ স্কুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘোষাণা দিয়েছেন।
শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত ‘মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে বুধাবার (২৩ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও এর আগে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি। তাদের ঢাবির কার্জন হলের সামনে সমাবেশ করার জন্য এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
সমাবেশ থেকে শিক্ষক নেতারা জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য সরকারকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) বর্জনসহ স্কুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এর আগেও চলতি মাসে শিক্ষকরা চারদিন বিভিন্ন মেয়াদে কর্মবিরতিও পালন করেন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস, ১৫ অক্টোবর ৩ ঘণ্টা এবং ১৪ অক্টোবর ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।
সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ২০১৭ সালে শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসলে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ১ মাসের মধ্যে শিক্ষকদের দাবি বাস্তাবয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর ২ বছর পার হলেও শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন হয়নি। বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সরকারের ১০ মাস পার হয়ে গেলেও প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য সমাধান করা হয়নি।
এদিকে বেতন বৈষম্য নিরসন প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি দেওয়ায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গত ১৩ অক্টোবর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।