এসএমই খাতে অর্থ বাড়ানোর পক্ষে মত পরিকল্পনামন্ত্রীর

ঢাকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে গুলশানের গার্ডেনিয়া গ্রান্ড হলে তাঁতপণ্য প্রদর্শনী ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যালে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ (এএফডিবি) যৌথভাবে দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ার বদনাম এসএমই খাতের নেই। যদি খেলাপি ঋণের অবস্থা ভালো থাকে তাহলে আরও বেশি পরিমাণে টাকা অর্থাৎ ১০০ বা ২০০ কোটি টাকা দেওয়া বাংলাদেশের জন্য এখন কোন সমস্যা নয়। স্টার্ট আপ বা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এবার আমরা ১০০ কোটি বরাদ্দ রেখেছি, জানিনা কতোটুকু ব্যবহার হবে, এসএমইএর জন্য আরও ১০০ বা ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার জন্য জোরালো মতামত ব্যক্ত করছি।’

তাঁতপণ্য নিয়ে বর্তমানে যে সুযোগ আছে তা ধরে রাখর আহ্বান জানিয়ে উদ্যোক্তাদের কয়েকটি দাবির বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের জন্যে অপেক্ষা না করে বিভাগীয় শহরগুলোতে মিউজিয়াম করার চেষ্টা করেন। সরকার দেখবেন তখন সহযোগিতা করছে।’ তাঁত দিবস হওয়ার পক্ষেও ইতিবাচক মত দেন মন্ত্রী।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এটি আমাদের আদি শিল্প। মধ্যযুগেও আমরা এ বিষয়ে পারদর্শী ছিলাম। বয়ন শিল্পে যাতে আমাদের অস্তিত্ব ও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পারি, সেটি আমাদের একান্ত কাম্য।’

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘তাঁতপণ্য নিয়ে আমাদের কর্মকাণ্ড বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে হবে।’

এএফডিবি’র সভাপতি মানতাশা আহমেদ বলেন, ‘আগামী ৫ বছর যেন আমরা এ ধরনের ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করতে পারি এবং এটিকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি সে ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম। বুধবার শুরু হওয়া চার দিনের এই মেলা শেষ হবে আগামী ২৬ অক্টোবর। হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯ এ মোট ৪৫টি স্টলে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের তাঁত ও কারুপণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব পণ্যের বুনন প্রক্রিয়াও দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারবে।

অর্থ বরাদ্দ এসএমই তাঁতপণ্য মেলা