Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লঞ্চের ধাক্কায় পা কাটা শিশু জাইমাকে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ


২৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৮:১৯

ঢাকা: ঢাকা-আমতলী চলাচলকারী এমভি ইয়াদ লঞ্চের ধাক্কায় পায়ের পাতা কাটা পড়া ৮ বছর বয়সী শিশু জাইমা নেওয়াজের চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা দিতে লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে জাইমার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং শিশুটির বাবার করা এক রিটের প্রেক্ষিতে রোববার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুরের রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আনিসুল হাসান ও শাহীনুজ্জামান শাহীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, আদালত রুল জারি করে চিকিৎসার জন্য শিশু জাইমার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিতে সাত থেকে ১২ নম্বর বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

নৌপরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, নৌ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, লঞ্চের মালিক মামুনুর রশিদসহ ১২ জনকে দুই সপ্তাহের মধ্যেেএই রুলের জবা দিতে বলা হয়েছে।

‘পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দুর্ঘটনায় পা হারানো শিশু জাইমার পরিবার’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার এ রিট করেন।

২০১৮ সালের ২২ মার্চ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়,‘এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন অর রশিদ ও তার লোকজনের জীবন নাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত শিশু জাইমা নেওয়াজ জিসার পরিবার। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লঞ্চ মালিক শিশুর বাবা জামাল গাজীকে জীবননাশ, বাচ্চা অপহরণ ও এসিড ছুঁড়ে স্বপরিবারে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় শিশু জাইমার মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার হোসেনের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ছয় বছরের শিশু কন্যা জাইমা নেওয়াজ জিসা, বাবা জামাল গাজী, মা নাজমুন নাহার ও ছেলে খাঁজা গরীবে নেওয়াজকে নিয়ে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার উদ্দেশ্যে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে আসেন। এমভি ইয়াদ লঞ্চটি ফতুল্লা ঘাটে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়।এতে শিশু জাইমা ছিটকে গিয়ে লঞ্চ ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে ডান পা আটকে যায়।

এতে শিশু জাইমার ওই পায়ের পাতার সম্মুখভাগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক শিশু জাইমাকে উদ্ধার করে ঢাকা জেনারেল এন্ড অর্থোপেটিক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে ২১ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে আসে। এ ঘটনায় শিশু জাইমার বাবা জামাল গাজী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী লঞ্চ মালিক মামুন অর রশিদসহ ৬ জনকে আসামী করে দক্ষিণ কোরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়ের পর থেকে শিশুর বাবা জামাল গাজীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য লঞ্চ মালিক ও তার লোকজন জীবন নাশের হুমকি, বাচ্চা অপহরন ও এসিড ছুঁড়ে স্বপরিবার মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন শিশুর পরিবার। এ ঘটনায় আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সরোয়ার হোসেনের আদালতে শিশুর মা নাজমুন নাহার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

জাইমা লঞ্চ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর