সিপিসি’র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, আসতে পারে বড় পরিবর্তন
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩৮ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫২
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চারদিনব্যাপী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) বেইজিংয়ে প্রথম দিনের সভা অনুষ্টিত হয়। চীনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কীভাবে আরও শক্ত করা যায় সেই প্রশ্নের উত্তর ঠিক করতে দলটির নীতিনির্ধারকরা চারদিনব্যাপী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আলোচনা করছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ ফোরাম পলিটব্যুরোর সদস্যরা এ বৈঠকে অংশ নেন।
দেশটির রাজনৈতিক হালচালের দিকে গভীর নজর রাখেন এমন বিশ্লেষকরা বলছেন, চারদিনের এ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোর পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নেতারা। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম পলিটিব্যুরো স্থায়ী কমিটির আকার আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। কমিউনিস্ট পার্টির পলিটিব্যুরোতে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা সাত।
দলের পলিটিব্যুরো স্থায়ী কমিটিতে আরও দুইজন সদস্য বাড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পলিটিব্যুরোর স্থায়ী কমিটির আকার সাত থেকে বেড়ে নয় হতে পারে। এক্ষেত্রে শংকিং শহরের সাধারণ সম্পাদক শেন মিনের ও দলের ভাইস প্রিমিয়ার হু শুনহুয়া স্থায়ী কমিটিতে জায়গা করে নেওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে বলে দলটির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এশিয়ান রিভিউ। এই দুই নেতাই ২৫ সদস্যের পলিটিব্যুরোতে রয়েছেন। তবে কিছু চীনা সংবাদমাধ্যম দলটির কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শুধু মাত্র শেন মিন স্থায়ী কমিটিতে ঢুকতে পারেন। উল্লেখ্য, এই দুই নেতার জন্মই ষাটের দশকে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এমন পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সাধারণত অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। তবে ২০১৮ সালের অধিবেশনে দলীয় প্রধান শি জিনপিংকে আজীবন এ পদে থাকার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে ‘টার্ম লিমিট’ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণত বছরে কমপক্ষে একবার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন আয়োজন করে এবং দলের জাতীয় কংগ্রেস পাঁচ বছরে একবার হয়ে থাকে। তবে এবারের অধিবেশন ২১ মাস পর অনুষ্ঠিত হলো। এমন লম্বা বিরতি দলটির সাবেক প্রধান দেং জিওপিং-এর আমলের পর আর দেখা যায়নি।
নীতিনির্ধারকরা এমন সময় এ অধিবেশনের আয়োজন করলেন যখন দেশটির সরকার দেশের ভেতর ও বাইরে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে বেশ বিপাকে রয়েছে চীন। ট্যারিফ যুদ্ধ প্রশমিত করতে দেশটির সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সাড়া মিলছে খুবই কম।
এছাড়া চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত শহর হংকংয়ে চীন-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। দেশটির সরকার বারবার হুঁশিয়ারি দিলেও হংকং পরিস্থিতির ব্যাপক কোনও উন্নতি দেখছে না কমিউনিস্ট পার্টি। এমন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে মাও সেতুং এর গড়া দলটির নেতাদের।