পৌনে ৭ লাখ কৃষককে ৮০ কোটি টাকা প্রণোদনা সরকারের
৩০ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:১২
ঢাকা: আসছে রবি মৌসুমকে সামনে রেখে দেশের ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮শ টাকা প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এতে দেশের ৬৪ জেলার ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ বিঘা জমি এই প্রণোদনার আওতায় আসবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এবার মোট ৯টি ফসলকে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এগুলো হলো, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূযর্মুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগ ডাল, পেঁয়াজ ও পরের খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল। এই নয়টি ফসল আবাদের এলাকা বাড়ানো, হেক্টরপ্রতি ফসলের ফলন বাড়ানো, সার্বিক দানাশষ্য এবং ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো এবং প্রাকৃতিক কারণে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এই প্রণোদনার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
এবার মোট ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭ জন কৃষক এ প্রণোদনা সুবিধা পাবেন। এদের মধ্যে ৭৫ হাজার পাবেন গম চাষের জন্য, ভুট্টার জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার, সরিষার জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার, সূর্যমুখীতে ৪ হাজার জন, চীনাবাদাম চাষে পাবেন ১০ হাজার, গ্রীষ্মকালীন তিলে ২৫ হাজার, শীতকালীন মুগ ডালে ৪৫ হাজার, গ্রীষ্মকালীন মুগ ডালের জন্য ৩০ হাজার, পেঁয়াজ চাষে পাবেন ৭ হাজার ৭ জন কৃষক।
এসব কৃষকেরা প্রত্যেকে ১ বিঘা জমির জন্য শস্য বীজ, ডিওপি, এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনা নিতে পারবেন সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষকেরা।
কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষিপন্যের বহুমুখীকরণ এবং খাদ্যে পুষ্টি নিশ্চিত করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এবং প্রধান লক্ষ্য। এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন হলে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭শ বিঘা অর্থাৎ ৯১ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমি চাষ করা সম্ভব। এতে প্রায় ৮৪০ কোটি টাকা ২৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আয় হবে বলে আশা করেন তিনি।