গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য হচ্ছে ‘পল্লী জনপদ’
৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৫৩
ঢাকা: পরিকল্পিত গ্রাম গড়তে ‘পল্লী জনপদ’ প্রকল্পে সায় দিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এ আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন পল্লী জনপদ নির্মাণ করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এর পূর্ত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসাবে রয়েছে। আর কাজের জন্য ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন বিশিষ্ট পল্লী জনপদ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৪ সালের আগস্টে একনেক বৈঠক অনুমোদন দেয়। সাতটি সাইটের মধ্যে চলমান তিনটি সাইটের (রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা) নির্মাণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের জুনের ১৯ তারিখের সিসিইএ’র সভায় ভূতাপেক্ষ অনুমোদন প্রস্তাব সম্পর্কিত বিষয়ে কার্যবিবরণির সিদ্ধান্ত সংবলিত সারসংক্ষেপ বিবেচনাকালে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দেন।’
পল্লী জনপদের কয়টি কাজ শেষ হয়েছে এবং এর সফলতা কতটুকু তা বিশ্লেষণ করতে হবে। যে কাজ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো সম্পন্ন করার পর বাকিগুলো করা সমীচীন কিনা তা যাচাই করে দেখে নতুন কাজ শুরু করতে হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গাজীপুরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত চলমান তিনটি সাইটে মোট ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী এবং পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণে সিসিইএ’র ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রকল্পের তিনটি ইউনিটের মধ্যে রংপুরে ৮০ শতাংশ, গোপালগঞ্জে ৮০ শতাংশ এবং বগুড়া ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।