ঢাবিতে জুনিয়রের বিরুদ্ধে সিনিয়রকে মারধরের অভিযোগ
৩০ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:২৮
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। আর মারধরের শিকার শিক্ষার্থী বলছেন, তিনি প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাবেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাবি আইন অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাজন আল মামুন। অভিযুক্তের নাম সুজয় বসু (তমাল)। তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
মারধরের ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী রাজন বলেন, ক্যাম্পাসে আমার এক ছোট বোন এসেছিল। সে নতুন একটি ফোন কিনেছে। আমি তার ছবি তুলতেছিলাম। পাশেই ও (সুজয়) তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলছিল। আমার সেদিকে খেয়াল ছিল না। হঠাৎ সে (সুজয়) জিজ্ঞাসা করে, আমি ক্যাম্পাসের কি না। ক্যাম্পাসের পরিচয় দিয়ে তিনিও তার পরিচয় জানতে চান। এসময় সুজয় নিজেকে আইন বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেও জানান রাজন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুজয় বসু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জয় ভাইয়ের (ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) বার্থ ডে উপলক্ষ্যে আমি একা একা বসে ছিলাম। মোমেন্টামের সামনে একজন ভাইয়া ও আপু অশ্লীলভাবে বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আমার কিছু বান্ধবী আসে। বান্ধবীরা এটা দেখে দূরে গিয়ে বসে। আমি জিজ্ঞাসা করি, তিনি ক্যাম্পাসের কি না। এরপর উনি রাগ দেখিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসেন। মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন সুজয় বসু।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিম পাঠিয়ে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীকে ফাস্ট এইড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সুজয় বসুর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে এটা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
