সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর কোথায় জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
৩১ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৪৫
ঢাকা: জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদার কোথায় আছেন জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে তার অবস্থান শনাক্ত করে জানাতে সিআইডিকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম আদালতে মামলার বিষয়ে হাইকোর্টকে জানান এবং আসামির ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন। পরে আদালত আসামির আইনজীবীকে তার অবস্থান জানাতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিআইডকে তার অবস্থান সনাক্ত করে আদালতকে জানাতে সাতদিন সময় দেন।
এর আগে রাষ্ট্র ও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ হাজার বিল অব এন্ট্রি জালিয়াতির অভিযোগে চট্টগ্রামের সিএন্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারের (দীপু) জামিন বাতিল করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত। এরপর গত ২৭ অক্টোবর আপিল বিভাগও চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিজানুর রহমান চাকলাদারকে (দীপু) আসামি করে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এ মামলায় সেদিনই মিজানুর রহমান চাকলাদারকে গ্রেফতার করে শুল্ক গোয়েন্দারা। ২৩ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এ জামিন বাতিল চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করে বাদীপক্ষ। আদালত গত ২৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ না করে দায়রা জজ আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্টে এই আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হওয়ার পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গত ১০ জুলাই। এরপর তিনি হাইকোর্ট থেকে গত ১৪ জুলাই ৬ মাসের জামিন পান। এ জামিন আদেশের সময় হাইকোর্ট দুদককেও রুলের জবাব দিতে বলেছিলেন, সেই কারণে দুদক তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।