এপ্রিলে ডি-এইট সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৩৫
২০২০ সালের এপ্রিলে আটটি বড় মুসলিম দেশের সংগঠন ডি-এইটের দশম সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ডি-এইট মহাসচিব জাফর কু শারি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডি-এইট মহাসচিব। বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক— এই আটটি মুসলিম দেশ ডি-এইটের সদস্য।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘ডি-এইটের আগামী সম্মেলনটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোটের পরবর্তী চেয়ারম্যান করা হবে, যা কাকতালীয়ভাবে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মিলে গেছে।’
ডি-এইট মহাসচিব সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা সম্মেলনে ২০৩০ সালের এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন উদ্যোগ ও ধারণা গ্রহণ করা হবে।
রাষ্ট্রদূত জাফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় উন্নয়নের একটি মডেল হতে পারে।
ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দেরও দাবি জানান মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখান থেকে ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য ভূমি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।
ডি-এইট মহাসচিবকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার গতিশীল নেতৃত্বে সংগঠনটিকে দৃশ্যমান করতে এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলায় উদ্ভাবনী ধারণা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও উন্নয়নের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী ও মহাসচিব উভয়েই ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
ডি-এইট ডি-এইট মহাসচিব জাফর কু শারি দশম ডি-এইট সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা