Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কেউ কখনও আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারবে না, তা নয়’


১ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীর প্রাথমিক তালিকা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তবে কেউ যে কখনো আমাদের দলে আসতে পারবে না তা নয়। কিন্তু যারা অপকর্মের সাথে যুক্ত, অন্যদলে থাকাবস্থায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, দখলবাজিসহ নানা অনিয়ম-অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিল, তাদেরকে আমাদের দলে নেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তাদেরকে নেতৃত্বের আসনে বসানোর কোন প্রশ্নই আসে না।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিল প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তালিকা করা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। সেটি যাচাইবাছাই করে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলে বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মকারীদের এখনও ধরা হয়নি বলে তারা হয়তো চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ বলছেন। তাদের দলের অনেকেই আছে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। সেই তালিকাও সরকারের কাছে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগে আমাদের দল থেকেই শুরু করেছেন।’

বিএনপি নেতাদের নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে যারা আছে তারা যেন সতর্ক থাকে। তারা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে বুঝতে পারবে এটি দলমতের ঊর্দ্ধে, এটি হচ্ছে যারা প্রকৃতপক্ষে অনিয়ম-অনাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযান। প্রকৃতপক্ষে ক্যাসিনোসহ যারা নানা ধরণের অনিয়ম অনাচার ও অপকর্মের সাথে জড়িত আছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যেই মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছি পৃথিবীর অনেক দেশের কাছে এটি একটি উদাহরণ। সাম্প্রদায়িক বিভাজন করলে যাদের সুবিধা হয়, সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝে মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। তারই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর, সাম্প্রতিক সময়ে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার সেগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছে।’

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমি বাঙালি, দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে আমি কোন ধর্মাবলম্বী। এখানে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন সে বাঙালি নাকি বাংলাদেশি। সেজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।’

রাঙ্গুনিয়া কুলকুরমাই বিহারের অধ্যক্ষ শাসনরত্ন ভদন্ত ধর্মসেন মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে কঠিন চীবর দানোৎসবে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. ধর্মসেন মহাস্থবির, দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগ তথ্যমন্ত্রী প্রাথমিক তালিকা

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর