ধানমন্ডিতে জোড়া খুন: গৃহকর্মীকে ধরতে তৎপর পুলিশ
৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৯
ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিতে জোড়া খুনের ঘটনায় ওই বাসার নতুন গৃহকর্মীকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল্লাহেল কাফি। রোববার (৩ নভেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন ওই গৃহকর্মীর সন্ধান পেতে একই বাসার ইলেক্ট্রিশিয়ান বেলায়েত ও কাজী মনির উদ্দিন তারিমের বডিগার্ড বাচ্চুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরইমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে গৃহকর্মী নতুন হওয়ায় তার নাম ঠিকানা কারও কাছে না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।
শিল্পপতির বাসায় জোড়া খুন, নতুন গৃহকর্মীকে সন্দেহ করছে পুলিশ
তিনি বলেন, বডিগার্ড বাচ্চুই নতুন গৃহকর্মীকে ওই বাসায় এনেছিলেন। তিনি কিছু তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় পলাতক গৃহকর্মীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ধানমন্ডি থানা পুলিশের একজন পরিদর্শক জানান, নতুন গৃহকর্মীর একটা নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। সেটি সঠিক কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। ওই নাম ঠিকানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। এর বাইরেও তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনা এমনও হতে পারে, নতুন গৃহকর্মী গ্রেফতারের পর আমরা যা সন্দেহ করছি, তা উল্টে যেতে পারে। ঘটনার নতুন মোড় নিতে পারে। ধানমন্ডির ওই বাসাটিতে দুইটি কক্ষেই ভাঙা আলমারি পাওয়া গেছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণাঙ্কার খোয়া গেছে। তবে যাই ঘটুক নতুন ওই গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করতে পারলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনা নিছক ডাকাতির পর হত্যা নাকি এর পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে তাও বেরিয়ে আসবে।’
গত ১ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসার চতুর্থ তলায় গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও গৃহকর্মী দিতির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আফরোজা ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মনির উদ্দিন তারিমের শাশুড়ি।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানতে পারে, হত্যার ঘটনায় ওই বাসার নতুন এক গৃহকর্মী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করে। হত্যার পর নতুন ওই গৃহকর্মী বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটটি বিজিএমইএর পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মনির উদ্দিনের। তিনি টিনটেক নামের একটি গার্মেন্টসের মালিক। ছয়তলা ভবনটির পাঁচ তলায় এফ-৪ ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটেছে। ফ্ল্যাটে মনির উদ্দিনের শাশুড়ি ও গৃহকর্মী থাকতেন। ভবনটিতে মনিরের মালিকানাধীন মোট চারটি ফ্ল্যাট আছে। মনির উদ্দিন আফরোজা বেগমের মেয়ে জামাই। তারা ওই ভবনের ওপর তলায় থাকেন। শ্বশুড় মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়ে জামাই ওই ফ্লাট চারটির মালিক হন।