Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গভবন থেকে টেলিফোন করে খুনিদের নির্দেশ দিয়েছিল মোশতাক’


৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৫৯

ঢাকা: খুনি মোশতাক বেঈমান, সেই বঙ্গভবন থেকে টেলিফোন করে খুনিদের জেলখানার ভিতরে ঢুকতে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়ন জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার শুরুতে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর জাতীয় চার নেতাদের বন্দি থাকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলো, এদেরকে যখন হত্যা করতে যায়, বঙ্গভবন থেকে… কারণ কোনদিন কারাগারে পারমিশন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। জেলে যখন জেলাররা যখন বাধা দিয়েছিল তারা ঢুকতে পারবে না, তখন বঙ্গভবন থেকে টেলিফোন যায়।’

‘খুনি মোশতাক বেঈমান, সেই টেলিফোন করে নির্দেশ দিয়েছিল ওদের ঢুকতে দিতে। এরা যখন অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে যায়, তখনও বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও বঙ্গভবন থেকে বলা হয়েছিল, তারা যেভাবে ঢুকতে চায়, সেভাবেই যেন ঢুকতে দেওয়া হয়। ধোঁকা দেওয়া হয়েছিল, আলোচনা করতে যাচ্ছে। তারা কথা বলবে, আলোচনা করবে। এই কথা বলেই ওদের কে ঢুকতে দেওয়া হয়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জেলখানার ভিতরে পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে চার জন নেতাকে একটা সেলের ভিতরে নিয়ে গুলি করে মারার কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোশতাকের পতন যখনই অনিবার্য হয়ে পড়লো, সাথে-সাথে ওই খুনিদেরকে একটি প্লেনে করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। প্রথমে তারা তাদের ব্যাংককে নিয়ে যায়। সেখানে বসে তাদেরকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। তাদের ভিসার ব্যবস্থা করে কোন দেশে যাবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে কারা জড়িত, সেটাও কিন্তু ইতিহাসে আছে।’

বিজ্ঞাপন

জেল হত্যায় পলাতক খুনিদের খোঁজখবর রাখছি: প্রধানমন্ত্রী

১৫ আগস্ট যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের কিন্তু ইমডেমনিটি জারি হয়েছিল। ৩রা নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের কিন্তু ইমডেমনিটি অডিন্যান্স জারি করেনি। কিন্তু ১৫ আগস্ট নিয়ে অর্ডিন্যান্স ছিল। তবে জেলখানার অথরিটি একটা কাজ করে গিয়েছিল, সেটা হল, ওই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় একটা জিডি করে রেখে দেয়। ওই জিডিটা করেছিল বলেই আমাদের কিন্তু মামলাটা করা সম্ভব হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

খুনি মোশতাক জাতীয় চার নেতা জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড বঙ্গভবন শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর