শিশু সামিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা: হারুনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল
৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:০৫
ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি মো. হারুন অর রশিদকে (২৬) অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আরজুন।
মামলার এ তদন্ত কর্মকর্তা সম্প্রতি আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটটি আগামী ২০ নভেম্বর আদালতে উত্থাপন করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৮ জুলাই হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামি হারুন অর রশিদ তার আপন খালাত ভাই পারভেজের রঙের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। থাকত খালাত ভাইয়েরই বাসায়। পারভেজের বাসা যে ভবনে, ওই ভবনেরই ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাটে মা-বাবার সঙ্গে থাকত শিশু সামিয়া। মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে পারভেজের বাসায় যেত সে এবং পারভেজের ছোট ছেলে আরাফের সঙ্গে খেলাধুলা করত।
আরও পড়ুন- শিশু সামিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২৯ অক্টোবর
গত ৫ জুলাই আরাফ অসুস্থ থাকায় সামিয়া আসামি হারুনকে ছাদ দেখানোর জন্য বলে। হারুন তখন সামিয়াকে নিয়ে ওই ভবনেরই ৯ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় এবং সেখানে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এরপর সামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলার প্রথামিক তদন্তে সামিয়াকে আসামি হারুন অর রশিদ ধর্ষণ ও হত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে— এমন তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাকে বলে শিশু সায়মা ওই ভবনের মনির হোসেনের ফ্ল্যাটে খেলতে যায়। সায়মার বাবা মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফিরে তার মাকে মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন। তখন সামিয়ার মা জানান, সে পাশের একটি ফ্ল্যাটে খেলতে গেছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকেও সায়মা বাসায় ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে মনিরের বাসায় যান মা সানজিদা আক্তার। সেখানে মেয়েকে না পেয়ে পুরো ভবনে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ভবনের নবম তলার উত্তর পাশে নির্মাণাধীন একটি ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে সিঙ্কের নিচে গলায় পাটের রশি দিয়ে পেঁচানো ও রক্তাক্ত অবস্থা সামিয়াকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দিলে ওয়ারী থানার পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাট থেকে সামিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আদালতে প্রতিবেদন শিশু সামিয়া শিশু সামিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা হত্যা মামলার চার্জশিট