বিশুদ্ধ-স্বচ্ছ পানির অপেক্ষায় চুয়াডাঙ্গার লাখো মানুষ
৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:১৩
চুয়াডাঙ্গা: কল চাপলেই বেরিয়ে আসে লালচে পানি। খাবার পানির অভাব তো বটেই, এত বেশি আয়রন যে রান্নার কাজে ব্যবহার করাও কঠিন। চুয়াডাঙ্গার পুরো পৌর এলাকার চিত্র একই। কেবল আয়রন নয়— সেই সঙ্গে রয়েছে আর্সেনিক সমস্যা।
সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা বলছেন, পানি শোধনাগার চালু হলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, পৌর এলাকায় ১ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পানি শোধনাগার। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ৩৫০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই শোধনাগার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩০ টাকা। এটি চালু হলে ১ লাখ ৭৮ হাজার পৌরবাসীর পানির সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া গেলেই পানি শোধনাগারটির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে চালু করা সম্ভব।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস বলেন, পানি শোধনাগার থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৪৫০ মিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। তৃতীয় নগর উন্নয়ন পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতীকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের আওতায় এ কাজে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪২ টাকা। এছাড়া ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা ব্যয়ে ৬৮০ ঘন মিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ ও ৪ কোটি ২২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬২ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার ৪০০টি পানির মিটার স্থাপনের কাজ চলছে। শিগগিরই তা শেষ হবে।
চুয়াডাঙ্গা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ময়নুদ্দিন বলেন, কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা পেলেই পানি শোধনাগারে ১১ হাজার ভোল্টেজের সংযোগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, চুয়াডাঙ্গা আর্সেনিক প্রবণ এলাকা। আর্সেনিকের পাশাপাশি পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ এবং স্বচ্ছ পানির সংকট এখানকার জন সাধারণের বড় সমস্যা। পানি শোধনাগারটি চালু হলে পৌরবাসীর এই সমস্যা দূর হবে।
আর্সেনিক সমস্যা চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পানি শোধনাগার বিশুদ্ধ-স্বচ্ছ পানি