Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারদের তালিকা’


৮ নভেম্বর ২০১৯ ১২:২০

গাজীপুর: এ বছর মহান বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাজাকারদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সবার কাছ থেকে তালিকা নিয়ে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের  ভূমিকা নিয়ে লেখাও সংযুক্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের রথখোলায় বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটি এই সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকের বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আগামি জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তারা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তা পরিচয়পত্রের পেছনে লেখা থাকবে। আগামী জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সব কবরও একই ডিজাইনে করে দেওয়ার প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে অসন্তোষ আছে। এটি নিয়েও কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০ সালে সে অসন্তোষ দূর করা হবে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১৫ হাজার দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর-বাড়িও করে দেওয়া হবে। এগুলোর প্রতিটি মূল্য হবে ১৫ লাখ টাকা।

চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ এই মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির জন্য আমাদের প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগকে ছাড় দেওয়া হয়নি। জাতির কাছে এই মেসেজ পরিষ্কার— ঘরের লোকদের আমরা প্রথমে শায়েস্তা করেছি। সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত— অর্থাৎ সরকারের অধীন সব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ীসহ প্রতিটি স্তরে যারাই দুর্নীতিতে জড়িত, একে একে তাদের সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় শেরপুর জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজরুল ইসলাম হিরু বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করি সরকার আমাদের অনুরোধ রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন আমলারা। মুক্তিযেদ্ধাদের সংগঠনের কার্যক্রম আমরা নিজেরাই পরিচালনা করতে চাই।

নেত্রকোনা জেলার সাবেক কমান্ডার মো. নুরূল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি আমাদের আদর্শের পিতা, প্রধানমন্ত্রী আদর্শের বোন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো হোক এবং চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা পুনর্বহাল করা হোক।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. রশিদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সবুজসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন-

রাজাকারের তালিকা করতে চিঠি যাবে জেলা প্রশাসকদের কাছে

আ ক ম মোজাম্মেল হক টপ নিউজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজাকারের তালিকা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর