দুর্বল ‘বুলবুল’ প্রবেশ করছে বাংলাদেশে
১০ নভেম্বর ২০১৯ ০০:১৫
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কিছুটা দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। এর আগে শনিবার রাত নটার দিকে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূলে প্রবেশ করে এটি। আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তরপূর্ব দিকে ক্রমশ দুর্বল হয়ে আজ মধ্যরাত নাগাদ এটি খুলনা উপকূল অতিক্রম করে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়শা খাতুন শনিবার রাত ১১টায় এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি.- এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কি.মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আয়শা খাতুন জানান, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব দিকে আট কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে অতি প্রবল থেকে শক্তি কমিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বুলবুল। তবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর এখনো প্রবলভাবে বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুলবুল অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।