অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তুরিনকে সরানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
১১ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:২৭
ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘অপরাধীর সঙ্গে তিনি যে কথা বলেছেন তার রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘তুরিন আফরোজ কেন এ কাজ করলেন আমরা বুঝতে পারছি না। আমি শুধু এটুকু বলবো এটা দুঃখজনক এবং তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরিয়ে ফেলার কাজটা যে খুশি হয়ে করা হয়েছে বিষয়টা তা নয়।’
আইনমন্ত্রী বলেন, “তুরিন আফরোজ একজন আসামির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন। এই মামলা আলাপ-আলোচনা করার সময় তিনি এও বলেছিলেন ‘এই মামলার কোন সারবত্তা নাই’। সেই কথোপকথন ট্যাপ বা রেকর্ড করা হয়। ট্যাপ করা কথোপকথন ও তার বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ চিফ প্রসিকিউটার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুন্যাল সেটা আমাদের কাছে পাঠান। আমরা এটা নিয়ে সাক্ষীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তুরিন আফরোজের সঙ্গে যতটুকু কথাবলা প্রয়োজন মনে করেছি হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
তিনি (তুরিন আফরোজ) আগের যে মামলা পরিচালনা করেছেন সেই সব মামলা পরিচালনায় আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অব্যাহতি দেওয়াও আগ পর্যন্ত তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। কিন্তু এই ব্যাপারে তার সেন্স অব জাজমেন্ট কাজ করে নাই। তার দিক থেকে যে সব বক্তব্য ধারণ করা হয়েছে, যেটা তার গলা বলে প্রমাণিত হয়েছে। যে মামলা নিয়ে কথা হচ্ছে সে মামলার কিন্তু চার্জ গঠন হয়ে গেছে। সেই কারণে এ বিষয়ে আমার মনে হয় যে আরও নিষ্পত্তি টানা দরকার ছিল, সেজন্য তাকে সরানো হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তুরিন আফরোজকে অপসারণ
তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে কথা হয়েছে এবং যেই প্রমাণ রয়েছে, সেটাকে যদি তিনি ডিফেন্স করতে চায় করতে পারে। কিন্তু ট্যাপ করা কথাবার্তা আমরা পেয়েছি তার বিরুদ্ধে নালিশ পেয়েছি। এরপর আমরা সার্বিকভাবে আলোচনা করার পরই তাকে অব্যাহতি দিয়েছি।’
এটাও কি বর্তমান সরকারে শুদ্ধি অভিযানের কোন অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি যে আইনজীবীরা এ কাজে নিয়জিত আছেন তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। তাদের এ বিষয়ে নতুন সংকেত দিতে হবে এটা আমি মনে করি না। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ঠ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন বলে আমার বিশ্বাস।’ কিন্তু এখানে যদি এই শৃঙ্খলার বাইরে কাজ করা হয় যেটা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনালের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে তার মান ক্ষুন্ন করতে পারে তাহলে আমাদের ব্যবস্থা তো নিবই এবং সেরকম ব্যবস্থাই নিয়েছি বলেও জানান তিনি।