ঘর-বাড়ি মেরামতে ক্ষতিগ্রস্তরা, শুরু হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম
১১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:২০
মোংলা (বাগেরহাট): বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পরে ঘর-বাড়ি মেরামত শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) সুন্দরবন ঘেঁষা উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারও ঘরের চাল নেই, কারও হারিয়ে সবই। নিম্মাঞ্চলের পাশাপাশি পৌর এলাকা থেকে দূর হয়নি জলাবদ্ধতা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাননি তারা।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আক্রমণে মোংলায় ১ হাজার ৩৭০টি ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকিগুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ১ হাজার ৬৮০টি চিংড়ির ঘের। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ। রাস্তাঘাট এখনো চলাচলের উপযোগী হয়নি। চিলা ইউনিয়নের দু’টি রাস্তা পশুর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে দুই দিন বন্ধ থাকার পরে স্বাভাবিক হয়েছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, রোববার রাত থেকে বন্দরের কাজ শুরু হয়েছে। আজ দিনেও কয়েকটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেছে-এসেছে। বন্দরে নোঙর করেছে ১৮টি জাহাজ।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বন বিভাগের কিছু ক্যাম্প, কাঠের পন্টুন, জেটি, ওয়াকওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্য প্রাণী মারা যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুন্দরবনের পাশেই বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের মাছ ব্যবসায়ী শাহানুর রহমান শামিম জানান, ঝড়ে শুঁটকি পল্লীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলেদের অস্থায়ী ঘরগুলোর অধিকাংশই বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেককে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার সারাবাংলাকে বলেন, যাদের ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য টিন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেসব রাস্তা ভেঙে গেছে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।