Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালুর সিদ্ধান্ত আসতে পারে নভেম্বরের শেষে


১২ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:০৫

ঢাকা: মালয়েশিয়ায় স্থগিত শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নূন্যতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ, উভয় দেশে রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্ততার পরিধি, মেডিকেল পরীক্ষা এবং কর্মীদের সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা ও তথ্য আদান-প্রদান বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ইমরান আহমদ আরও বলেন, ‘বৈঠকে উভয় দেশের মন্ত্রী মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে খোলার বিষয়ে একমতে পৌঁছান। বিশেষ করে ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিড়ম্বনা নিরসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আগে মাত্র একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ পুনরায় শুরু হবে বলে উভয়পক্ষ আশাবাদী।’

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ধৈর্য ধরেন, শ্রমবাজার খুলবে।’

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে গত ৬ নভেম্বর সে দেশের রাজধানী কুয়ালালামপুরের পার্লামেন্ট ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়শিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. সেলিম রেজা, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের মো. শহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমার টার্গেট হচ্ছে, স্বল্প খরচে বিদেশের শ্রমবাজারে কর্মী পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। যাতে দেশ এগিয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে জাপান এবং কম্বোডিয়ায় স্বল্প খরচে শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। সামনে চীনেও আমরা শ্রমিক পাঠানো শুরু করব। শ্রমশক্তির রফতানি করতে পারলে মানুষ বাঁচবে, দেশ বাঁচবে।যত পাঠাতে পারব, ততই দেশের উন্নয়ন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ খাতে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে আমরা ১৬৪টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছি। শুধু তাই নয়, অনিয়মের জন্য এ বছর একাধিক এজেন্সিকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

এই কাজ করতে গিয়ে কোনো চাপে আছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসার আছে, কিন্তু ওজন নিতে পারব। আমার শোল্ডার বড়। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আমার সাথে আছেন।’

মালেয়েশিয়া শ্রমবাজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর