পরিত্যক্ত প্যাম্পার্সকে নবজাতক সাজিয়ে প্রচার, যুবক গ্রেফতার
১২ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জন্মের পর একাধিক নবজাতককে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেওয়ার গুজব ফেসবুকে ছড়ানোর দায়ে চট্টগ্রাম নগরীতে সাঈদ হোসেন কানন (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে নগরীর স্টেশন রোডে হোটেল এলিনার সামনে থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
পুলিশ জানিয়েছে, অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া একাধিক শিশু চট্টগ্রামের একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে ফেলে দেওয়ার গুজব ছড়িয়েছিল এই যুবকসহ দু’জন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত আরেক যুবককেও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
গ্রেফতার মো. সাঈদ হোসেন কানন (২৭) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের হামিরবাগ গ্রামের বাসিন্দা কোরবান আলীর ছেলে। পেশায় ডিমের দোকানের কর্মচারী কানন চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে জনৈক ইব্রাহিম কমিশনারের বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া বলে জানান ওসি।
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নগরীর কাজীর দেউড়িতে হোটেল রেডিসন ব্লু এবং জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের মাঝামাঝিতে পরিত্যক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনার মধ্যে কয়েকটি প্যাম্পার্স বৃষ্টিতে ভিজে ফুলে গিয়েছিল। কাননের বন্ধু পারভেজ মোবাইলে সেই ফুলে থাকা প্যাম্পার্সের ছবি তোলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেগুলোকে জীবিত অথবা মৃত নবজাতক উল্লেখ করে ফেসবুকে আপলোড করেন। ফেসবুকে ছড়ানো সেই ভিডিওতে হোটেল রেডিসন থেকে অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মর্মে ধারা বর্ণনা দেন কানন। স্পর্শকাতর বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।’
‘আমরা তদন্তে নেমে জানতে পারি, জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মসজিদের কম্পিউটার অপারেটর মো. ইলিয়াছ তার বাচ্চার প্যাম্পার্স ময়লা-আবর্জনার মধ্যে ফেলেছিলেন। অথচ ফেসবুকে ভিডিও ফুটেজ আপলোডের মাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও আক্রমণাত্মক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টেরও উপক্রম হয়েছিল।’-বলেন ওসি।
এই ঘটনায় তথ্যপ্রযু্ক্তি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় কাননকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।