ঢাকা: কারা চিকিৎসক পদে প্রেষণে নিয়োগ প্রাপ্তরা যোগ না দেওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৫ নভেম্বর ১৬ চিকিৎসক কেন যোগদান করেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
কারা কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদনে আদালতে জানিয়েছিল সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। অপরদিকে বন্দিদের মোট ৪০ হাজার ৬৬৪ জন ধারণ সংখ্যার বিপরীতে বন্দী রয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন (২৭ আগস্ট পর্যন্ত)।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪ জন যোগ দেন। বাকি ১৬ জন এখনো যোগ দেননি।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্যপদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। ওই নির্দেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দেন।