Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলডিপিকে অন্য কারও নেওয়ার সুযোগ নেই: অলি


১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:০২

ঢাকা: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) বীর বিক্রম বলেছেন, এলডিপি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত এক নম্বর রাজনৈতিক দল। গত ১২ বছর ধরে আমি এই দলের সভাপতি। সুতরাং এই রাজনৈতিক দলকে অন্য কারও নেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই; এমনকি কোনো অধিকারও নেই। এলডিপির নিবন্ধন আমার নামে। ফলে আমার দলই মূল দল।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের পেঁয়াজসহ নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্যেমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় মুক্তিমঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ভেঙে গেল এলডিপি

জাতীয় মুক্তিমঞ্চের আহবায়ক অলি আহমদ বলেন, এলডিপির কোন ত্যাগী নেতাকে বঞ্চিত করেনি। বরং এলডিপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শাহাদত হোসেন সেলিম সে সব সময় নিজেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচির বলে পরিচয় দিতেন। অথচ আমার দলের গঠনতন্ত্র অনুযাযী সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিচের কোনো পদ নেই। পদ আছে যুগ্ম মহাসচিব। তাকে নিষেধ করার পরও সব সময় এই পদটি ব্যবহার করত। তাই তাকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘তাদের ২০ দলীয় জোটে নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। সেটা ২০ দল সিদ্ধান্ত নেবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে অলি আহমদ বলেন, ‘তারা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিংবা দল থেকে বহিষ্কার করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এলডিপির সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক রাজনীনৈতিক দল রযেছে। আরেকটি দল হলো। তারা প্রেসক্লাবে, ফুটপাতে বসে নানান কর্মসূচি পালন করবে। এতে অনেকের সুবিধা হবে। অসুবিধা কি?’

সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের ক্ষমতায় থাকাকালে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দেশে মানবাধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে, গণতন্ত্র নেই। ব্যাংকে টাকা নেই, সর্বত্র লুটপাট চলছে। বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে, ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা।’

আরও পড়ুন: কর্নেল অলি নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝেন না: করিম আব্বাসী

তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে পৃথিবীতে এই ধরনের কোন ঘটনা অতীতে ঘটেনি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।’

অলি আহমদ বলেন, ‘এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। সরকার যদি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হতো, তাহলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে এত ঊর্ধ্বগতি হতো না। তাই আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিতে। কারণ এভাবে দেশ চলতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘যতদিন সরকার পদত্যাগে বাধ্য না হয়, ততদিন আন্দোলন চলবে। আমাদের শক্তিশালী হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হবে।’

উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায় কর্নেল (অব.) অলি আহমদ-এর নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল করিম আব্বাসীকে সভাপতি করে নতুন এলডিপির সাত সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য সচিব করা হয়েছে অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে। সাত সদস্য বিশিষ্ট নতুন এলডিপির আহ্ববায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- মেহেরপুর থেকে নির্বাচিত তিনবারের সংসদ সদস্য ও অলির এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ বাশার, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, তৌহিদ আনোয়ার, দফতর সম্পাদক কাজী মতিউর রহমান।

কর্নেল অলি টপ নিউজ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর