অপ্রয়োজনে সিজার করায় ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট
২১ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২০
ঢাকা: প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতি এক নারীর অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ঘটনায় ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে অপ্রয়োজনে সিজার করায় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন এ রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বাস্থ্য সচিবসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের যে কোনো একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য যাবেন বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।
মো. জে আর খান রবিন জানান, জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপা গত ৮ জুন সন্তান প্রসবের জন্য নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক। গত ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন তিনি। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না।
অস্ত্রোপাচারের পর গত ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননি, বরং প্রসূতির পিতার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক নিয়ে এসে তার চিকিতসা করা হয়। তবে ওই চিকিৎসকরা নিপার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক জানিয়ে তাকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
পরে ২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এরপর সুস্থ হন তিনি। এই হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, ‘তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না।’
কয়েকদফা অস্ত্রোপাচার করায় সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আক্তার ইতির কাছে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রসুতির শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বলেও জানান রিটকারি আইনজীবী।