Monday 30 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইন সংশোধনের জন্য সংসদে যেতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি

ঢাকা: আইন সংশোধন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একবার আইন হয়ে গেলে সেটি পরিশুদ্ধ করতে হলে সময় প্রয়োজন। আইনের মধ্যে থেকে এই আইন পাল্টাতে হলে সংসদে যেতে হবে। তবে আপাতত যেসব ধারা সংশোধনের কথা বলা হচ্ছে সেই ধারাগুলো আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত শিথিলযোগ্য রেখে বাকি ধারাগুলো বহাল থাকবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটায় ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন এর কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা (পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন) আপত্তি জানিয়েছে। আপত্তির প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি কাজ করেছে। সেখানে পরিবর্তনের জন্য আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেয়েছি। তার সূত্রধরে আজ (২৩ নভেম্বর) সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সুপারিশগুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘক্ষন আলোচনা করেছি’।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আইন সংশোধনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যাবে কেবিনেটে। কেবিনেট থেকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয় ঘুরে যাবে আবার জাতীয় সংসদে। কিন্তু , সড়ক পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও মালিকবৃন্দ সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই, বুধবার (২১ নভেম্বর) এখানেই আরও একটি সভা হয়েছিল বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে। আজ আবার যারা এসেছেন তাদের দাবি-দাওয়া প্রায় একই রকম।

মন্ত্রী বলেন, যে যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন আপাতত সেই লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাবেন। ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিআরটিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করে লাইসেন্স হালনাগাদ কিংবা উপযুক্ত লাইসেন্স করে নিতে হবে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সচিব মহোদয় এ ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যারা ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন সেগুলো সনাক্ত করে সেখানেই বাজেয়াপ্ত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা দাবি করেছেন, ইতোমধ্যেই একাধিক মামলার কারণে বিরাট অংকের জরিমানা যুক্ত হয়েছে, এ জরিমানার মধ্যে সরকারি যে ফি ব্যতীত বাকি অংশ যেন মওকুফ করা হয়। আমরা বলেছি, আপনারা যথাযথ ভাবে আবেদন করুন। আবেদন পেলে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ পাঠাবো।

এছাড়াও আমরা বিআরটিএ এবং হাইওয়েতে জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে আইন মেনে চলার সংস্কৃতি চালু করা। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনার হার যাতে কমে যায় সেদিকে আমরা নজর রাখছি।

বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি কতগুলো ব্যাপারে তারা সুপারিশ করেছেন। সেগুলি নিয়ে আমাদের যে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে তারা প্রসিডিওর ফলো করে বিষয়টি দেখবেন।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল টপ নিউজ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সরক পরিবহন আইন সংশোধন সংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর