দুপুরে বসবে পদ্মাসেতুর ১৭তম স্প্যান
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৭
ঢাকা: পদ্মাসেতুর ১৭তম স্প্যান বসানো হবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)। স্প্যানটি সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটিতে দুপুরের দিকে স্থাপন করা হবে। সকালেই খুঁটির কাছে স্প্যানটি নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের আলোর মধ্যেই স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের। এছাড়া এই মাসে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পদ্মা সেতুতে ৪১টি স্প্যান বসাতে হবে। এর মধ্যে চীন থেকে সেতু এলাকায় স্প্যান এসেছে ৩১টি। সেখান থেকে ১৬টি স্থাপন করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ নির্ধারিত গতিতে এগুতে পারছে না। ২ হাজার ৯শ ১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে সেতুতে। এরইমধ্যে ১৬৭৪টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে ৬৯টি রোডওয়ে স্ল্যাব। দিনেমাত্র একটি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো যাচ্ছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করতে হলে দিনে অন্তত ৮টি করে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো প্রয়োজন।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি- ৮৪ দশমিক ৫০% এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৯ দশমিক ০৮ %। ২০২১ সালের জুন মাসে সেতু দিয়ে গাড়ি চলবে।
এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩টি খুঁটির কাজ শেষ। বাকি থাকা ১০টির খুঁটির উপরের অংশের কাজ চলছে।
পদ্মা সেতুর স্প্যানের ভেতরে রেলওয়ে স্ল্যাব লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৯২০ টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব তৈরি চলতি মাসেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকৌশলীরা। এখন পর্যন্ত রেলওয়ে স্ল্যাব ৩৬১টি স্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ ভাগ এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মাটির গঠনগত বৈচিত্র্যের কারণে পদ্মা সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হতে বারবার বাধার মুখে পড়ছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তারপর পিছিয়ে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জুন মাসে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০৭ সালে। ২০১৫ সালে শুরু হয় নির্মাণ। বর্তমান ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুইপ্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগসড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।