‘হুসনাকে সৌদি আরব থেকে দেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন’
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫২
ঢাকা: সৌদি আরবে কর্মরত নারী গৃহকর্মী হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করে পুলিশের নজরদারিতে সেইফহোমে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
জেদ্দা কনস্যুলেট তাকে নিয়মিত ফলো আপ করছে উল্লেখ করে ওই বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে তাকে দেশে পাঠানোর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, জেদ্দা কনস্যুলেট হুসনাকে উদ্ধারের জন্য সৌদি আরবের নাজরান পুলিশকে অবহিত করে। হুসনা সৌদি রিক্রুটিং অফিস ‘রুয়াদ নাজরানের’ (লাইসেন্স নং- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে প্রায় তিন মাস আগে সৌদি আরবে যান। তার কর্মস্থল ছিল সৌদি আরবের নাজরান শহরে, যা জেদ্দা থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। হুসনা আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম মো. মুজিবুর রহমান।’
এর আগে, হুসনা আক্তার এক ভিডিও বার্তায় দেশের মানুষের কাছে সহযোগিতা চান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেই তিনি সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন। তাকে ‘ভালো কাজের’ প্রলোভন দেখান স্থানীয় দালাল শাহীন মিয়া ও রিক্রুটিং এজেন্সি আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন। এরপর গত ৬ নভেম্বর এজেন্সি আল-সারা ওভারসিসের (আরএল-৭৫২) মাধ্যমে তিনি সৌদি আরবে যান। যাওয়ার পর থেকেই তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
হুসনা আক্তারের স্বামী শফিউল্লাহ বিষয়টি জানার পর ছুটে যান শাহীন ও আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে। তারা হুসনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ২ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে ব্রাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ‘কোনো উপায় না পেয়ে ২৪ নভেম্বর ব্র্যাকের সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন হুসনার স্বামী। এরপর তাকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে পরিবারটিকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।’