‘নির্ভুল বিচারের জন্যই সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে দেরি’
২৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:১০
ঢাকা: নির্ভুল বিচার যেন হয়, সে কারণেই সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করতে বেশি সময় লাগছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। সুষ্ঠু বিচারের জন্য তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সময় দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। একই মন্তব্য করেছেন কুমিল্লার কলেজ শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার তদন্তের ক্ষেত্রেও।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, চাঞ্চল্যকর এই দুইটি মামলা এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংস্থা যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্তে সন্তুষ্ট হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া উচিত না। তদন্ত কর্মকর্তাদের সেই সময়টুকু দেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৬ বছর জেল খাটার পর তিন আসামির নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার ঘটনার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, এররকম ভুল বিচারে যেন কোনো নিরপরাধ শাস্তি না পায়, সেটা দেখা উচিত। তাই এই মামলাগুলো তদন্তাধীন আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত মামলার শেষ ও আসামি কারা সেটা দেখা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত চলবে।
নুসরাত হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পরবর্তী ধাপগুলোও দ্রুত শেষ করা হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার পেপারবুক ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপারবুকও চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। আগামী বছর এই দুইটি মামলার হাইকোর্টের শুনানি শেষ করা যাবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।
২০০৫ সালে ৬৪ জেলার ৫০০ স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। যেখানে যেখানে মামলাগুলো ঝুলে আছে, সেসব স্থানের মামলাগুলো শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তনু হত্যা সাগর-রুনি সাগর-রুনি হত্যা