Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ডাক


২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩০

চট্টগ্রাম: পূর্বের ঘটনার জের ধরে  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে(চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ তাদের দুই কর্মীকে হামলার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে।

রোববার (১ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার এগারো মাইল এলাকায় দুই নেতাকে মারধর করা হয়। ছাত্রলীগের এই দুই কর্মীর উপর হামলার বিচার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে সত্যটা নিশ্চিত করেছেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, তাপস হত্যা মামলার আসামি মিজানুর রহমান ও প্রদীপ চক্রবর্তীর দুর্জয় নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়ায় দুজনই গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এই দুই কর্মীর উপর হামলার বিচারের দাবি এবং হামলায় মদদ দাতা ছাত্র উপদেষ্টা লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লার পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাক দেওয়া হয়েছে।

মারধরের শিকার ছাত্ররা হলেন, চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাছির ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আল নাহিয়ান রাফি। তারা দুজনই চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার(সিএফসি) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর তাদেরকে ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের অনুসারীরা বলে অভিযোগ করেন রেজাউল হল রুবেল।

অন্যদিকে ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিএফসির নেতা কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আজকে হাটহাজারীতে তাদের কর্মীর উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি আমাদের কর্মীর উপর চাপিয়ে দিয়ে সিএফসি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে দায়ী করেন বিপুল।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর শুক্রবার প্রতিপক্ষের হামলায় পাঁচ জন আহত হয়। এই ঘটনার জের ধরে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সিএফসি গ্রুপের দুই নেতার উপর হামলা করে। এ সময় ছাত্রলীগের এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাওয়া দিলে দুই হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষ থেকেই এ সময় ঢিল ছোড়াছুড়ি করে।

এ সময় সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। জিরো পয়েন্টে গোয়েন্দা পুলিশের গাড়ি ভাংচুরও করা হয়।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত)  মশিউদোলা রেজা সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুই পক্ষ ঝামেলা করতে চাইলে জল কামান ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মনিরুল হাসান বলেন, মারামারির ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ আব্দুর রব হলের টেলিভিশন রুমে মিটিং করাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচ কর্মী আহত হন।

উল্লেখ্য, চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুসারী  ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) চসিকের বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ছাত্রলীগ টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর