অনার্সে ভর্তির ব্যাপার নিয়ে আমার কিছু কথা আছে: রাষ্ট্রপতি
৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:০৮
ঢাবি: সরকারি কলেজগুলোতে অনার্স ভর্তি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘অনার্সে ভর্তির ব্যাপার নিয়ে আমার কিছু কথা আছে।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের লিখিত বক্তব্যের বাইরে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ভর্তির ব্যাপার নিয়ে আমার কিছু কথা আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের ফল যখন হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তখন ভর্তির তারিখ দেয়। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটা রেজাল্ট দিয়ে কে কোন কলেজে ভর্তি হবে এটা জানায়। তখনও কিন্তু শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে কিনা নিশ্চিত নয়, সেজন্য সবাই কলেজগুলোতে ভর্তি হয়ে যায়। সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তি হতে তাদের প্রায় পাঁচ হাজার টাকা লাগে। আর বেসরকারি কলেজগুলোতে ভর্তি হতে ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।’
‘কিন্তু দেখা যায় অনেক ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে যায়। যখন চান্স পেয়ে যায় তখন কলেজে ভর্তি বাতিলের জন্য আবার দরখাস্ত দিতে হয় সেখানেও একটা ফি (৬৫০ টাকা) দিতে হয়। অনেকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সেখানে প্রথম সেমিস্টারে ৪০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। যখন কেউ কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায় তখন কিন্তু ওটা বাতিল করে দিয়ে আসতে হয়। এর জন্যও টাকা দিতে হয়’, বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে সব পরীক্ষা আপনারা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে রেজাল্ট দিয়ে দেবেন। ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি যে ছাত্র সেখানে চান্স পাবে সেখানে ভর্তি হবে। এতে করে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে অনর্থক অর্থদণ্ড এবং হ্যারেজমেন্ট থেকে রক্ষা পাবে। আমি আশা করি এ বিষয়টা আপনারা আন্তরিকভাবে বিচার-বিবেচনা করবেন।’
ডাকসু নেতাদের কাজ ও সান্ধ্যকালীন কোর্স ভালো লাগে না: রাষ্ট্রপতি
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত গুচ্ছ পরীক্ষার জন্যও অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতি। এর আগেও তিনি বিষয়টির অনুরোধ করেছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি এটার এখনও কোনো অগ্রগতি দেখি না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্যকে আমি অনুরোধ করব আপনারা অনুগ্রহ করে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য স্নাতক ও গবেষকদের হাতে সনদ তুলে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। তাকেও সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব সাইন্স’ ডিগ্রি দেওয়া হয়।