জীবনের প্রথম সংবর্ধনা পেলেন নওগাঁর ১০ বীরঙ্গনা
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৬
নওগাঁ: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন বাজি রেখেছিলেন তারা, হারিয়েছিলেন নিজেদের সম্ভ্রমও। কিন্তু সেই ত্যাগের বিনিময়ে কোনো সংবর্ধনা তো দূরে থাক, স্বীকৃতি পেতেই কেটে গেছে ৪৮ বছর।
বিজয়ের ৪৯ তম বছরে জীবনের প্রথম সংবর্ধনা পেয়েছেন নওগাঁর রাণীনগরের ১০ বীরঙ্গনা। সেই সঙ্গে পেলেন মুক্তিযোদ্ধা সন্মানি ভাতা, বিজয় উৎসব ভাতা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেস্ট ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে একটি করে ছাগল।
আর এসবের সঙ্গে পেয়েছেন উপজেলাবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাণীনগর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরঙ্গনা), যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় বীরাঙ্গনা মায়া রানী সূত্রধর, রাশমনি সূত্রধর, সন্ধ্যা রানী পাল, কালীদাসী পাল, সন্ধ্যা রানী ও গীতা রানী পালের হাতে সন্মাননা, ক্রেস্ট ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রয়াত বানী রানী পাল, ক্ষান্ত রানী পাল, রেনু বালা ও সুষমা সূত্রধরের পরিবারের সদস্যদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা ও ক্রেস্ট।
বীরাঙ্গনা মায়া রানী সূত্রধর বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পাওয়া এই সংবর্ধনার কারণে এতোদিনের কোনো কিছু না পাওয়ার আক্ষেপ কিছুটা হলেও মুছে গেছে। আমরা আনন্দিত ও গৌরবিত। আমাদেরকে এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের সহধর্মিনী সুলতানা পারভিন বিউটি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ দুলু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এ্যাড. ইসমাইল হোসেন, রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক, সাধারন সম্পাদক মফিজ উদ্দিনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা দপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
চলতি মাসেই এই ১০ নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপরেই তারা পেলেন সংবর্ধনা।