চবি সাংবাদিকতা বিভাগের রজতজয়ন্তী উৎসব বৃহস্পতিবার
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পঁচিশ বছর পূর্ণ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের। বৃহস্পতিবার থেকে যৌথভাবে গৌরবের রজতজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী আয়োজনের বিস্তারিত জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল ও সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ এবং উদযাপন কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক উত্তম সেনগুপ্ত।
উৎসবের প্রথমদিন সকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রজতজয়ন্তী উদযাপন শুরু হবে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। উদ্বোধনের পরে বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবে।
এরপর সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজান, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সব শেষে রয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শেষ দিনের (শুক্রবার) অনুষ্ঠান হবে নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে। ওই দিন রজতজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হবে। বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে এমএসএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রথম স্থান অর্জনকারী ছয় শিক্ষার্থী ও সাবেক তিন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে সম্মাননা।
এছাড়া থাকছে সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সাংবাদিকতা বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই বছরের ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়। ৮ ডিসেম্বর কলা অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক হায়াৎ হোসেনকে বিভাগের প্রথম সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিভাগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয় বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম।