Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্মেলনে উপহার দেওয়া হবে মডার্ন, স্মার্ট আ. লীগকে: কাদের


১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৫০

ঢাকা: গত জাতীয় নির্বাচনের অঙ্গীকার, নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ ও প্রতিশ্রুতি মোকাবেলা করে মানুষের সামনে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত, মডার্ন, স্মার্ট হিসেবে উপহার দিতেই সম্মেলন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন স্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

কাদের বলেন, আমাদের সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও আছে। তা মূল্যায়ন করবে নেতাকর্মী, কাউন্সিলর ও জনগণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সম্মেলনের পর আমাদের সামনে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মতো বড় এজেন্ডা আছে। যে কারণে আমরা এই সম্মেলনের প্যান্ডেল মঞ্চের বাইরে সাজসজ্জা বলতে তেমন বর্ণাঢ্য, ফেস্টিভ কোনো লুক রাখিনি। সম্মেলনের আয়োজন যা হয়েছে তা নেত্রীর নির্দেশেই হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ভিশন ২০২১, ২০৪১ ও ২১০০ সাল পর্যন্ত। নেত্রী ভিশনারি লিডার হিসাবে জাতির সামনে এমন নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছেন। এসব এখন আমাদের এই সম্মেলনেরও লক্ষ্য হবে, মূল এজেন্ডা হবে। গত নির্বাচনের আগে নেত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন-পুরনো মিলিয়ে, টেকনোলজি, রিয়ালিজম এবং আইডিয়ালিজমের মধ্যে ব্যালেন্স করে আওয়ামী লীগকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’

নতুন নেতৃত্ব কি কি অঙ্গীকারে কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচনী যে ইশতেহার বা প্রতিশ্রুতি তা আমরা পালন করবো। আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে যেমন সংগঠন দরকার তাই করা হবে। শুধু সরকার শক্তিশালি কখনো হবে না, যদি দল শক্তিশালি না হয়। যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বর্তমান কমিটি কতটা সফল বলে মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও কিছু কিছু আছে। তবে আমার মনে হয়, সফলতা ব্যর্থতার বিষয়টি বিবেচনা করবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। পাশাপাশি সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে কাউন্সিলরদের মূল্যায়ন আছে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের জনগণই আমাদের সফলতা ব্যর্থতার বিষয়টি মূল্যায়ন করবে। সফলতা থাকলে সেখানে ব্যর্থতাও কিছু কিছু থাকে। আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা করবো এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।’

দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার টিম কতটা সফল জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সন্তুষ্ট। বিভাগীয় দায়িত্বে যারা নিয়োজিত ছিলেন, তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।

বর্তমান কমিটির বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচির উদাহরণ দিয়ে কাদের বলেন, গত এক মাসেই আমরা ২৯টি জেলা সম্মেলন করেছি। প্রায় ১৫০টির মতো উপজেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে ট্রেন মার্চ করেছি উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত। রোড মার্চ করেছি কক্সবাজার পর্যন্ত। আমাদের এই যে সাংগঠনিক তৎপরতা সেটি চলমান। আমাদের সম্মেলনও চলমান প্রক্রিয়া। জাতীয় কাউন্সিলের পরও গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব জেলা সংগঠন ও উপজেলা-ইউনিয়ন সংগঠনের আয়ু ফুরিয়ে গেছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেই সম্মেলনগুলো মুজিববর্ষের আগে শেষ করতে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে যারা দায়িত্বে আছেন, থাকবেন। তারাই সম্মেলনের এজেন্ডা ঠিক করে নেবেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাঃ দিপু মনি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকে।

আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। ২০ ডিসেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর