মৃদু শৈত্য প্রবাহ, কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪২
কুড়িগ্রাম: ক্রমাগত তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে মৃদু শৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিশু-বৃদ্ধসহ শ্রমজীবী ও ছিন্নমুল মানুষেরা। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক মফিজল জানান, সারাদিন একবারের জন্যও সূর্য দেখা যায়নি। এ কারণে ঠান্ডা খুব বেশি। হাত-পা বাইরে বের করা যায় না। তবুও কষ্ট করে রিকসা চালাচ্ছি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্র জানিয়েছে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বুধবারের (১৮ ডিসেম্বর) চেয়ে আরও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। দুই একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
এ অবস্থায় জেলার চরাঞ্চলের মানুষেরা খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বাসিন্দা মঈনুল হক জানান, এমনিতেই আমরা চরের মানুষেরা সব সময় অভাবে থাকি। গরম কাপড় কেনার টাকা পয়সা বেশির ভাগ মানুষের নেই। তাই শীতের সময় খুব কষ্ট হয়। যে ঠান্ডা পড়েছে তাতে কাজ কর্ম করতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী জেলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা ৯ উপজেলায় বন্টন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, গত তিন দিন ধরে শীতের পার্দুভাব বেড়েছে। তবে মানুষ যে খুব কষ্টে আছে সেটা আমরা মনে করছি না। শীত মোকাবিলার যে সরকারিভাবে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ইতোমধ্যেই আমরা সরকারিভাবে যথেষ্ট শীতবস্ত্র বরাদ্দ পেয়েছি। নগদ কিছু টাকাও আমাদের হাতে আছে। প্রয়োজন মনে করলে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।