মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বিচারকের অপসারণ চাইছে সরকার
২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২৯
ইসলামাবাদের একটি বিশেষ আদালত পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক ও সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ।
সেই সূত্রে ওই বিচারকের অপসারণ চেয়ে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের সরকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদের একটি বিশেষ আদালত।
মোশাররফের বিরুদ্ধে সামরিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই মামলার বিচারে পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ওই বিশেষ আদালত। এবং আদালত আরও বলেছে, যদি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন মোশাররফের মৃত্যু হয়, তাহলে তার মরদেহ যেন ডি-চকে (পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভবনের সামনের একটি চত্ত্বর) তিনদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ওই রায় ঘোষণার সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) এক সম্মেলনে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থান করছিলেন। পাকিস্তানে ফিরেই বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া মোশাররফের রায় নিয়ে আগে থেকেই সংক্ষুব্ধ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠান। তারপরপরই, এই রায় পর্যালোচনার জন্য ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টির এক জরুরি সভা ডাকেন ইমরান খান। ওই সভা থেকেই সিদ্ধান্ত হয় বিচারপতি ওয়াকার শেঠের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে আবেদন করবে সরকার।
আরও পড়ুন-পারভেজ মোশাররফের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান খান
আরও পড়ুন-পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড