কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে রাজশাহী
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:২২
রাজশাহী: তাপমাত্রার ওঠানামায় রাজশাহী জুড়ে কনকনে শীত। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপ। তারপরেও থেকে থেকে সূর্য আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে আবারও নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
কম তাপমাত্রা আর সূর্যের লুকোচুরিতে বিপর্যস্ত গোটা জনপদ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করছে পাড়া মহল্লার মানুষ। মূলত ভোররাত থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকা, থেমে থেমে বয়ে চলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর সূর্যের উষ্ণতা না থাকায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
গত দুদিন থেকে সূর্যের আলো কয়েক ঘণ্টা থাকলেও শীতের কামড় অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই কনকনে ঠান্ডায় শরীরে গরম কাপড় মুড়িয়ে রাখলেও হাত-পা হয়ে থাকছে হিম। যার কারণে মাঝে মধ্যে আগুনে তাপ নিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। অনেকে ছুটছেন চায়ের দোকানে। কনকনে শীতের কারণে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ টানা কাজও করতে পারছেন না। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকেও বের হচ্ছেন না।
শীতের কারণে ভিড় লেগেই আছে গরম কাপড়ের দোকানে। সবকিছু মিলিয়ে শীতের তীব্রতায় রাজশাহীর জনজীবন বিপর্যস্ত।
মহানগরীর কোট এলাকায় মোহনপুর থেকে কাজ করতে আসা দিনমজুর আব্দুর রহমান ও সাইদুর বলেন, ‘ভোরের দিকে খুবই কুয়াশা ছিল। দুই তিন হাত দুরে কি আছে তাও ঠিকমতন দেখা যাচ্ছিল না। এমনাবস্থায় সাইকেল চালিয়ে ড্রেনের কাজ করতে এসেছেন। কিন্ত রোদ উঠলেও গরম কাপড় কোনোভাবেই শরীর থেকে সরাতে পারছেন না ঠান্ডার কারণে। সাধারণত কাজ করলে শরীরে গরম হয়। কিন্ত এবার এতো শীত যে, সেটাও হচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে হাত-পা জমে যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর এলাকার ফুটপাতের গরম কাপড় ব্যাবসায়ী হায়দার বলেন, বেলা ১১টার দিকে দোকান খোলার পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড়। যার যেমন সাধ্য তেমন কিনছেন। হাত-পা মোজা থেকে শুরু করে সব ধরনের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোজা বিক্রির হার বেশি।
রাজশাহীর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, কুয়াশাছন্ন আকাশ আর রোদের তাপ না থাকার কারনে শীতের তীব্রতা রয়েছে। সাথে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবার কারণে ঠান্ডা বেশী অনুভূত হচ্ছে। এখন কয়েকদিন এমনটাই চলবে। কখনো সূর্যের দেখা মিলবে। আবার কখনো দেখা যাবে না। পুরো শীতকাল জুড়েই এমন থাকবে
তিনি জানান, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি। চলতি শীত মৌসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।