রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাপান
২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:০১
মিয়ানমারে নিযূক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইচিরো মারুয়ামা বলেছেন, জাপান সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠির ওপর কোনো ধরনের গণহত্যা বা জাতিগত নিধন চালায়নি দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মিয়ানমারের ইরাওয়ার্দি অনলাইন এই জাপানী রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য প্রচার করে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ওই রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে।
এমন এক সময় জাপানী রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করলেন যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) পর্যন্ত গড়িয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাম্বিয়া যে আবেদন করেছে, তা আন্তর্জাতিক আদালতে টিকবে না।
এদিকে, আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার শুরু হওয়ার পর প্রথম দেশ হিসেবে জাপান সরাসরি মিয়ানমারের পক্ষ নেওয়ার ঘোষণা দিল। এর আগে, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে গাম্বিয়ার পক্ষ নিয়েছিল।
ওই বক্তব্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাখাইনে সব রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী ওই হামলা করেছে বলে তিনি মনে করেন না। বরং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) পূর্ববর্তী হামলার জেরেই ওই অভিযান চালিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিপীড়নের উদ্দেশ্যে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে সেনাবাহিনী, এই মর্মে প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইণ্ডিং মিশন। সেনা অভিযানের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে, দুইবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, মিয়ানমারের অনীহার কারণে সেই উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি।