ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে থাকছে ৩০ হাজার ইভিএম
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৩২
ঢাকা: আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ১৪ হাজার ৬০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। তবে বিকল্প হিসাবে আরও ১৫ হাজার ৪০০ ইভিএম প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামি ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দুই সিটিতে ৩০ হাজার ইভিএম বণ্টন করা হবে। এর মধ্যে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনে ইভিএমে ভোটের জন্য ১৯টি পয়েন্ট থেকে প্রশিক্ষণ, ডেমোনেস্ট্রেশন, মক ভোটিং ও ভোটকেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইভিএম রাখা হবে। এর মধ্যে ডিএনসিসির জন্য ৮টি পয়েন্টে ইভিএম থাকবে।
অন্যদিকে, ডিএসসিসি নির্বাচনে ১১টি পয়েন্টে ইভিএম থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, দুই সিটিতে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬০০টি। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাখা হবে অতিরিক্ত সংখ্যক ইভিএম। আর ইভিএম পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে সেনা সদস্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে তারা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত এবং সক্ষম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর দুই জন সদস্য থাকবে। তারা ইভিএম সংক্রান্ত যেকোনো টেকনিক্যাল সার্পোট দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই সিটিতে প্রায় ২ হাজার ৪০০টির বেশি কেন্দ্র এবং ১৪ হাজার ৬০০টির মতো ভোটকক্ষ রয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা রিজার্ভসহ ৩০ হাজার ইভিএম প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা করছি। প্রতি কেন্দ্রে বাড়তি ব্যাকআপ হিসাবে একটি করে ইভিএম রাখার পরিকল্পনা রয়েছে শনিবার থেকে ইভিএম পাঠানো শুরু হয়েছে।’
ঢাকার দুই সিটিতে ওয়ার্ড ও ভোটার সংখ্যা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১৮টি। ডিএনসিসিতে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৬টি। মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। ডিএসসিসি‘র নির্বাচনে মোট ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিটিতে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটিতেই সবগুলো কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে। ভোট গ্রহণের সময় সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চারটা।
নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩১ ডিসেম্বর। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরা ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জানুয়ারি।