ঢাকা: দেশের নদ-নদী এবং খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নদী উদ্ধার ও দূষণ বন্ধে কাজ করছে। তবে ২০১৯ সালে এসে তা গতি পেয়েছে। আমরা সব ধরনের জরিপ শেষ করেছি। সে অনুযায়ী, ঢাকার চার পাশের নদী উদ্ধার, সীমানা পিলার স্থাপন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত টাস্ক ফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সালাম ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর মাহাবুব উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে নদ-নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। যেখানেই পুনঃদখল হবে, সেখানেই অ্যাকশন হবে।
সভায় কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকের সভায় উচ্ছেদ অভিযানের চেয়ে দূষণ বন্ধে করণীয় বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। নদী ময়লা-আবর্জনামুক্ত করলেই চলবে না, সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জেলা পর্যায়ে আমাদের নদী রক্ষায় কমিটি আছে। সেসব কমিটিগুলো কী কাজ করছে, কমিটিগুলোকে আরও কিভাবে অ্যাকটিভ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দু‘টি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে। এগুলো হলো— ঢাকার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র ও তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ছাড়া কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না।