চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্লট কেনাবেচার নামে প্রায় ৩৫ গ্রাহকের কাছ থেকে আনুমানিক সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তিনবছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন মো. শাহআলম (৪৭) নামের এক ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতার শাহআলম চট্টগ্রামে বিভিন্নজনের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রথমে ঢাকায় ও পরে নারায়ণগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বাসা থেকে কথিত এই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
গ্রেফতার মো. শাহআলম (৪৭) চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার বার্মা কলোনির মেসার্স শাহআলম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক।
ওসি নেজাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বায়েজিদ এলাকায় নিজের প্লট দেখিয়ে বিক্রির নামে অথবা যৌথভাবে প্লট কেনার নামে কয়েকজনের কাছ থেকে শাহআলম টাকা নেন। এছাড়া আবুল খায়ের গ্রুপের লোহার কাটপিস ব্যবসার নামেও বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেন। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৩৫ জনের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ১৫টি পৃথক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে। তিন বছর আত্মগোপনে থাকার পর আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’
ওসি আরও বলেন, ‘শাহআলমের প্রতারণার কৌশল খুবই নিখুঁত। সে ব্যবসা করে লাভ দেওয়ার নামে টাকা নেয়। প্রথমে ২-৩ মাস আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়। সেটা দেখে অনেকে বিনিয়োগ করে। কয়েকমাস পর মূল টাকাটা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। সে বাসায় বসে কখনো মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলে না। অবস্থান যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্য সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কথা বলে বাসায় এসে মোবাইল বন্ধ করে রাখে।’
শাহআলমকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে পাওনাদারেরা থানায় ভিড় করছেন বলেও জানিয়েছেন ওসি।