কাউন্সিলর রাজীবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩১
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের মাদক মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র্যাব।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-২-এর উপপরিদর্শক প্রনয় কুমার প্রামাণিক সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
চার্জশিট থেকে জানা যায়, রাজীব দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা উত্তর যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। তিনি তার রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ উপার্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেন। তাছাড়াও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিজ হেফাজতে রেখে অবৈধভাবে মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলদারিত্বের মাধ্যমে মহানগরীরর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। আসামি রাজীবের নামে মোহাম্মদপুর, চাঁদ উদ্যান, রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি (জায়গা, ফ্ল্যাট) রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি এসব সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর পৃথক দুই মামলায় ১৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন কাউন্সিলর রাজীব। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর রোডের ৪০৪ নম্বরে এক বন্ধুর বাসা থেকে কাউন্সিলর রাজীবকে আটক করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ৭ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৩৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এরপর রাজীবকে নিয়ে মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির বাসায় অভিযান চালানো হয়। একই দিন তার অফিসে অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে ৫ কোটি টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই জব্দ করা হয়।
পরদিন ২০ অক্টোবর বিকেলে ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে রাজীবের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়। পরে ৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।