Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে লাখো পর্যটকের ভিড়, নিরাপত্তা জোরদার


৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:০২

কক্সবাজার: সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে বিদায় হলো ২০১৯, ঘড়ির কাটা রাত ১২টা ছুঁয়ে দিলেই শুরু হবে নতুন বছর ২০২০ সাল। আর এই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের পর্যটন স্পট কক্সবাজারে ভিড় জমিয়েছেন লাখো পর্যটক। এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ আর কটেজগুলো ভরে উঠেছে অতিথিদের আগমনে। বলতে গেলে তিল ধারণের জায়গাও নেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের এই শহরে। এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসন বলছে, নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে এই পর্যটন নগরীকে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজারের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের প্রায় সব স্পটেই পর্যটকদের তুমুল ভিড়। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।

সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের লোনা জলে গা ভাসানো আর বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সমাগম ঘটেছে লাখো পর্যটকের। শীতের হিমেল হাওয়া ও শিশির ভেজা বালিয়াড়িতে বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখার জন্যও সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা।

আগত পর্যটকদের রাত্রীযাপনে শহরের চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ আর কটেজগুলো এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। স্টার মানের হোটেলগুলোতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়তি চাপ থাকায় হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে অনেকের।

নতুন বছর উদযাপনে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে সস্ত্রীক বেড়াতে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, নতুন বছরকে বরণ করতে তারা কক্সবাজার ছুটে এসেছেন। সমুদ্রের বুকে সূর্যস্ত ও সূর্যোদয় দেখার মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছর ২০২০ সালকে বরণ করতে চান তারা।

সায়মা সুলতানা নামে আরেক পর্যটক বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিশালতায় দাঁড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মজাই আলাদা। তাই পরিবার নিয়ে এসেছি যেন সবাই একসঙ্গে আনন্দ করতে পারি।

নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তার মন্তব্য, নিরাপত্তা রয়েছে। তবে আরও জোরদার করা প্রয়োজন। হোটেলে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন এবং কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট) জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। তাদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা যেন ভ্রমন শেষে নিরাপদে ঘরে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ মাত্রায় সতর্ক রয়েছি। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, টহল পার্টিও দায়িত্ব পালন করছে পর্যটক স্পটগুলোতে। জেট স্কি‘র মাধ্যমে টহল দেওয়া হচ্ছে সমুদ্রে।

পুলিশ সুপার জিল্লুর আরও জানান, পর্যটকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া, ইভটিজিং বন্ধের পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলো সিসিটিভি ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি তিনটি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধ শতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন র‌্যাব সদস্যরাও। অন্যদিকে, খাবারের মান নিয়ন্ত্রণসহ যেকোনো দরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও রয়েছে মাঠে।

কক্সবাজার নতুন বছর নববর্ষ ২০২০ পর্যটকদের ঢল বর্ষবরণ সমুদ্র সৈকত

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর