বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেড ডুবে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু
৩ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:১৯
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। এসময় বাল্কহেডের মাস্টারসহ দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ধর্মগঞ্জ চটলার মাঠ খেয়াঘাট এলাকায় ওই ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত চার হলেন— পিরোজপুরের কাউখালীর চাষেরকাঠি এলাকার আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে মোস্তফা, পিরোজপুরের বটবাড়ির ছোট আরজি এলাকার রাশেদ হাওলাদারের ছেলে বাবু, ঝালকাঠির নলছিটির কান্দেবপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে লুৎফর রহমান ও বরিশালের বানারিপাড়ার ইলুহার এলাকার মহিবুল্লাহ।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাসেল শিকদার সারাবাংলাকে জানান, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে যায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ সময় ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। তিনি মৃত শ্রমিকদের লাশ দাফন করার জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা তুলে দেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া লাশ বহন করার জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করে দেন।
বাল্কহেডের মাস্টারের বরাত দিয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ কাজল মিয়া সারাবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধর্মগঞ্জ চট্লার মাঠ খেয়াঘাট এলাকায় ডকইয়ার্ডে নির্মাণ কাজ করা জন্য নোঙর করে বাল্কহেডটি। এসময় বাল্কহেডের তলা ফেটে পানিতে তলিয়ে গেলে কেবিনে ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিকরা উঠতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় চার জনকে উদ্ধার করে।
পরে পাগলা নৌপুলিশ ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ নিহত শ্রমিকদের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
বালুবাহী বাল্কহেড বাল্কহেড ডুবে ৪ শ্রমিকের মুত্যু বাল্কহেডডুবি