জেএনইউ হোস্টেলে হামলা, এবিভিপি-বামদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
৬ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩৮
ঢাকা: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) হোস্টেলে হামলা চালিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত। হামলায় জেএনইউ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক আহত হয়েছেন। তবে কত জন আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই হামলা ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো।
জেএনইউ শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করেছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন এবিভিপি সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে এবিভিপি বলছে, বামপন্থীরা তাদের হস্টেলে তাণ্ডব চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে প্রায় অর্ধশত দুর্বৃত্ত লাঠি এবং পাথর হাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকে। এরপর তারা হোস্টেলগুলোতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মুখোশ পরে ছিল।
হামলায় জখম হয়েছেন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষ। তিনি বলেন, “মুখোশপরা গুণ্ডারা আমাকে নৃশংসভাবে আক্রমণ করে। আমাকে বেদম পিটিয়েছে। আমার রক্ত ঝরছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অতুল সুদ বলেন, “কারা হামলা করেছে, তাদের আমি চিনতে পারিনি। তবে হাতে লাঠি-পাথর নিয়ে একের পর এক হস্টেলে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে ওরা। ওদের হাতে বড় বড় পাথর ছিল, যাতে আমাদের অনেকেরই মাথা ফেটে যেতে পারত। একবার আমি পড়ে যাই। এরপর যখন বাইরে বার হই, দেখলাম আমার গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ওরা।”
এবিভিপি’র সভাপতি দুর্গেশ কুমার বলেন, “গত দু’মাস ধরে কারা ক্যাম্পাসে অশান্তি ছড়াচ্ছে? ৫০-৬০ জন কি হাজার জনকে মারতে পারে?”
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার এক বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, “ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সমস্ত জেএনইউ সম্প্রদায়ের প্রতি এই বার্তা। মুখোশধারী দুষ্কৃতিকারীরা লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভাঙচুর ও হামলা চালাচ্ছে। জেএনইউ কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডেকেছে। এই সময়ে শান্তি বজার রাখার পাশাপাশি সতর্ক থাকাটা জরুরি। দুষ্কৃতিকারীদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।”
জেএনইউ হোস্টেলে হামলার পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে লেখেন, “জেএনইউ-তে হিংসার ঘটনায় আমি শক্ড। পড়ুয়াদের নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশের উচিত অবিলম্বে এই হিংসা থামিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা। নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই যদি পড়ুয়ারা সুরক্ষিত না থাকতে পারেন, তবে দেশের উন্নতি হবে কী করে?”