ধর্ষণের প্রতিবাদে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ
৬ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:২৯
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন শেষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেলা ১১টায় মানববন্ধন হবে। এছাড়া বুধবার ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি ইউনিটে মানববন্ধনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ এসময় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার আইন শিগগিরই পাস করার অনুরোধ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আপনাদের আশেপাশে বিভিন্ন খারাপ কটূক্তি করে, তবে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ গড়ে তুলুন। তাদের সামাজিকভবে বয়কট করতে হবে।’
এসময় অনতিবিলম্বে ধর্ষকের বিচার দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে প্রত্যেকের নিজের দিকে খেয়াল রেখে প্রতিবেশীর দিকে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনো ধরনের সন্দেহমূলক আচরণ দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করতে হবে।’
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘মানুষরূপী এই জানোয়ারদের গ্রেফতার করতে হবে৷ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু হটবো না। আমরা অনিরাপত্তা বোধ করছি। প্রশাসনকে আমরা এ ব্যাপারে জানিয়েছি যাতে করে শাস্তি প্রদান করা হয়।’ এ ব্যাপার তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলন শুধু ঢাবির শিক্ষার্থী বলে নয়, দেশের যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদেরর কেউ যেন এমন ঘটনার শিকার না হন সেই লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।’
ঢাবি প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘সেক্সচুয়াল হেরেজমেন্ট কোড করুন এবং এই ধরনের ঘটনার বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাবি শাখার শীর্ষ নেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘ধর্ষণ করতে বর্জন, ঢাবি করো গর্জন’, ‘স্বাধীন দেশে আর কত?’, ‘চিৎকার কানে পৌঁছাবে কবে?’ ‘আমি বাংলাদেশ, আমি লজ্জিত’, ‘বাঙালি অভিধানে আর থাকবে না ধর্ষণ’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন।