ব্যাংককের কাছে ৩৬ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় ঢাকা
৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৬
ঢাকা: ব্যাংককের কাছে ৩৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছে ঢাকা। দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম যৌথ বাণিজ্য কমিটির (জেটিসি) বৈঠকে ঢাকার প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে ব্যাংকক।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুই দিনব্যাপী এই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশর ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। থাইল্যান্ডের পক্ষে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী জুরিন লক্ষনাসেত।
বৈঠক প্রসঙ্গে থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ মিশন থেকে জানানো হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী ৩৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত সুবিধা চেয়েছেন। সেই তালিকাও থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলকে দেওয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডের মন্ত্রী প্রস্তাবটি বিবেচনার আশ্বস দিয়েছেন।
এ সময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এবং সেবিকা প্রশিক্ষণ খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগে অংশ নিতে পারে থাইল্যান্ড।
এ বিষয়ে থাই মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই ঢাকা সফর করবে বলে জানানো হয়।
কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, মাছ চাষ, ওষুধ শিল্প খাতে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে ঢাকা এবং থাইল্যান্ড সম্মতি প্রকাশ করেছে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বিস্তৃত করতে নিয়মিতভাবে বাণিজ্য মেলার আয়োজন এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের মত উঠে আসে বৈঠকে। এছাড়া বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য খুব তাড়াতাড়ি থাইল্যান্ড একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এরই মধ্যে এফটিএ বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে এবং সম্প্রতি থাইল্যান্ডের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে।
থাইল্যান্ড সরকারের উপমুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে এরই মধ্যে থাইল্যান্ড সরকার সম্মতি জানিয়েছে। এই চুক্তি হলে ঢাকা-ব্যাংকক উভয় দেশই উপকৃত হবে। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতিতে সমতা আসবে। ভারত ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।