‘বস্ত্র খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে’
৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৯
ঢাকা: আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে বস্ত্র খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯ উদযাপন ও বহুমুখী বস্ত্র মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এবারের বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন টেকসই উন্নয়ন।
বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তা ও অংশীদারদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যখনই বস্ত্রখাতে কোনো সমস্যা হয়েছে তখনই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। একুশ দশকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। সকলের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এই খাতে সমস্যা থাকলে আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যাগুলো নিয়ে আপোষ-মীমাংসা করবো। কারণ আমি কিছুদিন আগেও প্রাইভেট খাতে ছিলাম। এখন আপনাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি। তাই আপনাদের মনের দুঃখের কথা বুঝি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে আপনারা যাতে উন্নতি করতে পারেন। দেশে শিল্পায়ন গড়তে পারেন, সেই ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আপনাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসব।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন মন্ত্রী। জানান, বস্ত্র আইন ২০১৮ ও বস্ত্র নীতি ২০১৭ প্রণয়ন, তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিতে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আইন-২০১৩ প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, এদেশে বস্ত্রের চাহিদা ও যোগানের সাথে জড়িত রয়েছে বিশাল এক জনগোষ্ঠী। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। যার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ নারী। ফলে তৈরি পোশাক খাতের মাধ্যমে নারীদের মূল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য গর্বের।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রফতানিমুখীর কারণে বহু ফিডব্যাক ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। আবার এই ফিডব্যাক ইন্ড্রাস্ট্রির অধীনে আরও ফিডব্যাক ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এইভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। দেশীয় শিল্পের সঙ্গে ১৬ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জড়িত। তাই এই বস্ত্র শিল্পের দিকে নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু অনৈতিক রফতানি শিল্প মালিক সমিতি বন্ডের মাধ্যমে দেশের শিল্পগুলিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদিকে নজর দিতে হবে। আগে যারা আমরা একটি শার্ট পড়তাম। এখন আমরা বছরে ৫টি-১০টি শার্ট পরি। সুতরাং আমাদের লোকাল চাহিদাও বেড়ে গেছে। এ কারণে দেশীয় এই শিল্পকে আমাদের সমৃদ্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে বস্ত্রখাতের অধিকতর উন্নয়ন এবং এই খাতে নিয়োজিত সর্বস্তরের অংশীজনকে উৎসাহিত করতে ৯টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০১৯ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী