ঘন কুয়াশা ও শৈতপ্রবাহে মরছে বীজতলা, দুশ্চিন্তায় হিলির কৃষক
১০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:১১
হিলি: খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিটি উপজেলায় বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষক। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ ও ভালো ফলনের আশা তাদের।
তবে ঘন কুয়াশা ও শৈত প্রবাহের কারণে স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা করছেন কৃষক। গত কয়েকদিন ধরে টানা কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে এরইমধ্যে মরতে শুরু করেছে বোরো বীজতলা। আগাম বীজতলা তৈরি করেছিলেন হিলির কৃষকরা। কিন্তু ঘন কুয়াশায় বিবর্ণ আকার ধারন করে মরে যাচ্ছে বোরো চারা। তাই সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এবার আমি মাঘের শুরুতে ইরি-বোরো রোপণ করতে আগে-ভাগেই বোরো বীজতলা তৈরি করেছিলাম। তবে ঘন কুয়াশা ও কয়েক দিন পর পর টানা শৈত প্রবাহের কারণে বীজতলা মরে গিয়েছে।’
‘শুধু একবার নয় আমি তিনবার বীজতলা তৈরি করেছি, তিনবারই বীজতলা মরে গেছে। এবার বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি’, যোগ করেন এই কৃষক।
কথা হয় কাদিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল সালামের সঙ্গে। তিনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা নিয়ে অনেক চিন্তায় আছেন। কুয়াশায় মরে যাচ্ছে বীজতলা। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
উপজেলার খাট্রাউছনা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কিভাবে বীজতলা তৈরি করবো এধরনের কোন পরার্মশ মাঠ পর্যায়ে এসে আমাদের কেউ দেয়নি। আমরা নিজেদের মত করে বীজতলা তৈরি করেছি এখন সেগুলো মরতে শুরু করেছে।’
তবে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজেনা বেগমের দাবি, তারা সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বোরো চারা যাতে নষ্ট না হয় এবং বোরো লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে আমরা উপজেলার কৃষকদের সবধরনের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদেরকে রাতের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরার্মশ দিয়েছি। এছাড়া যেগুলো বীজতলা কুয়াশার কারণে স্যাঁতস্যাঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারন করেছে সেগুলোতে কীটনাশক প্রয়োগের পরার্মশ দিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য মতে, উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আসন্ন ইরি-বোরো রোপণের জন্য ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।