চট্টগ্রাম ব্যুরো: জন্মশতবর্ষে আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে তিনদিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নাট্যকলা বিভাগ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শুরু হবে এই উৎসব।
তিনদিনের নাট্যোৎসবকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। মঞ্চসজ্জা, ক্যাম্পাসকে সাজানোসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা।
‘মুক্তির চেতনায় শিল্পীত সৃজন’ এই স্লোগানে চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন। তবে এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে উৎসবের ভিন্ন আঙ্গিক থাকছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বুধবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে হবে উৎসবের সূচনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংষ্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার। অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী এবং কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নাট্যকলা বিভাগের জিয়া হায়দার স্টুডিওতে নাটক মোহভঙ্গ, আড়াইটায় পূজোর সাজ এবং সন্ধ্যা ৭টায় উন্মুক্ত মঞ্চে সেলিম আল দীনের ‘যৈবতী কন্যার মন’ পরিবেশিত হবে।
বৃহস্পতিবার জিয়া হায়দার স্টুডিওতে দুপুর সাড়ে ১২টায় সোনার তরী, আড়াইটায় বাঁশি এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উন্মুক্ত মঞ্চে ‘রাষ্ট্র বনাম’ নাটক পরিবেশিত হবে।
শুক্রবার জিয়া হায়দার স্টুডিওতে দুপুর আড়াইটায় নিষ্কৃতি, বিকেল সাড়ে তিনটায় শ্যামাপ্রেম এবং উন্মুক্ত মঞ্চে বিকেল সাড়ে ৫টায় নাটক লাল জমিন ও রাত ৮টায় ব্যাঙ পরিবেশিত হবে।
নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি মো. শামীম হাসান সারাবাংলাকে বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায়োগিক চর্চা হিসেবে আমরা প্রতিবছর নাট্যেৎসবের আয়োজন করি। এবারও একইভাবে এই আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের মাধ্যমে ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জন্মশত বর্ষে আমরা এই নাট্যোৎসব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করেছি।